মূল লক্ষ্য:
বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা এবং জীববিজ্ঞানসমূহের প্রতি আগ্রহের বিকাশ ঘটানো যাতে করে তারা পরবর্তীতে মুক্তচিন্তাশীল মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ:
১) দেশের ৩য়-১২শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে জীববিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করা।
২) বিজ্ঞানমনষ্কতার প্রতিফলন যে শুধু পাঠ্যবিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবনবোধের অংশ – শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই বোধের বিকাশ ঘটানো।
৩) জীববিজ্ঞান শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান যাতে করে তাঁরা উপরের ১ ও ২ নং লক্ষ্যের বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারেন।
৪) জীববিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে দেশী-বিদেশী লেখকদের লেখাগুলো শিক্ষার্থীদের বোধগম্য করে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা এবং যথাসম্ভব স্বল্পমূল্যে সেগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
৫) সারাদেশে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে জীববিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা এবং সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৬) স্বল্পমূল্যে দেশজ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয় শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে দেখানোর জন্য গবেষণামূলক কাজ করা।
৭) ২০১৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পর্যবেক্ষক প্রেরণ করা।
৮) ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৯) ২০১৭ সালের মধ্যে আঞ্চলিক পর্যায় ও জাতীয় পর্যায়ে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত করা এবং সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের (বায়োক্যাম্প) ব্যবস্থা করা ও তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগী হিসেবে প্রেরণ করা।
১০) ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শারীরতত্ত্বে / চিকিৎসায় / রসায়নে (প্রাণরসায়ন) নোবেল পুরষ্কার অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা।